SATT ACADEMY

New to Satt Academy? Create an account


or
Log in with Google Account

Admission
রসায়ন - রসায়ন - দ্বিতীয় পত্র - তড়িৎ পরিবাহী ও এর প্রকারভেদ

সকল পদার্থের তড়িৎ পরিবহন ক্ষমতা এক নয়। আবার কিছু কিছু পদার্থ তড়িৎ পরিবহনই করতে পারে না। তড়িৎ পরিবহনের ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে পদার্থসমূহকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :

 

১. তড়িৎ অপরিবাহী (Insulator) : যে সকল পদার্থের মধ্যদিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত অর্থাৎ চলাচল করতে পারে না তাদের তড়িৎ অপরিবাহী বলা হয়। সাধারণত সমযোজী যৌগসমূহই তড়িৎ পরিবহনে অক্ষম। যেমন— কাঁচ, রাবার, চিনি, পেট্রোল ইত্যাদি। এ ছাড়া প্রায় সকল অধাতব মৌলসমূহই তড়িৎ অপরিবাহী।

২. তড়িৎ পরিবাহী (Conductor) : যে সমস্ত পদার্থের মধ্যদিয়ে তড়িৎ প্রবাহিত হতে পারে তাদের তড়িৎ পরিবাহী বলা হয়। যেমন— সকল ধাতুসমূহ, এসিড এবং ক্ষারের দ্রবণ, সকল লবণের দ্রবণ ও গ্রাফাইট, সোনা, রূপা, কপার ইত্যাদি।

 

তড়িৎ পরিবাহীর প্রকারভেদ (Classification of electrical conductors)

তড়িৎ পরিবহনের কৌশলের উপর নির্ভর করে তড়িৎ পরিবাহী পদার্থসমূহকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন :

 

 

  • ধাতব পরিবাহী (Metallic Conductor ) : যে সকল তড়িৎ পরিবাহী পদার্থের মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহের সময় পদার্থের কোনোরূপ রাসায়নিক পরিবর্তন হয় না , তাদেরকে ধাতব পরিবাহী বলা হয়। সাধারণত ইলেকট্রনের প্রবাহের ফলে তড়িৎ প্রবাহিত হয় বলে ধাতব পরিবাহীসমূহকে ইলেকট্রনীয় পরিবাহীও বলা হয়। যেমন : সকল ধাতু, গ্রাফাইট (গ্রাফাইট অধাতব কঠিন মৌল হলেও সেটির মধ্য দিয়ে ইলেকট্রনের প্রবাহ ঘটে)। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে ধাতব পরিবাহীর পরিবাহীতা হ্রাস পায়। যেহেতু রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটেনা তাই এটি ভৌত পদ্ধতি।
  • তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী (Electrolytic Conductor) : যে সকল তড়িৎ পরিবাহী পদার্থের মধ্যদিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করলে, পদার্থসমূহ রাসায়নিকভাবে পরিবর্তিত হয়ে নতুন ধর্ম বিশিষ্ট পদার্থে পরিণত হয় তাদের তড়িৎ বিশ্লেষ্য পরিবাহী বলা হয়। তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থসমূহ বিগলিত বা দ্রবীভূত অবস্থায় তড়িৎ পরিবহন করে এবং তড়িৎ পরিবহনের সময় পরিবাহীসমূহ বিশ্লেষিত হয়ে নতুন পদার্থে পরিণত হয়। এক্ষেত্রে ধনাত্মক ও ঋণাত্মক আয়নের মাধ্যমে তড়িৎ প্রবাহ ঘটে।
  • ধনাত্মক আয়ন যে দিকে প্রবাহিত হয় তড়িৎ প্রবাহ সেদিকে এবং ঋণাত্মক আয়ন যেদিকে প্রবাহিত হয় তড়িৎ প্রবাহ তার বিপরীত দিকে ঘটে। যেহেতু তরলের মধ্য দিয়ে ক্যাটায়নগুলো ক্যাথোডে এবং অ্যানায়নগুলো অ্যানোডে যায় সেহেতু তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থের মধ্যে সর্বদা অ্যানোড থেকে ক্যাথোডে তড়িৎ প্রবাহ হয়। যেমন— সকল লবণসমূহের দ্রবণ, এসিড, ক্ষার ইত্যাদি।

তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থসমূহ আবার দুই প্রকার। যথা—

  • তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য (Strong Electrolyte) : যে সকল তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থসমূহ দ্রবণে প্রায় সম্পূর্ণরূপে আয়নিত অবস্থায় থাকে তাদেরকে তীব্র তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলা হয়।
  • মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য (Weak Electrolyte) : যে সকল তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ দ্রবণে আংশিক আয়নিত অবস্থায় থাকে তাদের মৃদু তড়িৎ বিশ্লেষ্য পদার্থ বলা হয়।
Promotion
Content for the offcanvas goes here. You can place just about any Bootstrap component or custom elements here.